কর্মী ব্যবস্থাপনা বলতে এমন একটি কৌশলকে বোঝায় যা দিয়ে একটি দক্ষ জনশক্তি সংগ্রহ উন্নয়ন এবং সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হয় যাতে উক্ত সংগঠনের বিভিন্ন কার্যাবলির মধ্যে মিতব্যয়িতা ও অধিক কর্ম তৎপরতা সৃষ্টি হয়। কর্মী ব্যবস্থাপনার প্রধান কার্যাবলী সমূহ হচ্ছে
১। কর্মী পরিকল্পনা ২। কর্মী সংস্থা ৩। কর্মী নির্বাচন ৪ কর্মী সংগঠন
কর্মী পরিকল্পনা (Planning of Employ): একটি ব্যবসার উদ্দেশ্য সফল করার জন্য কত সংখ্যক কর্মী প্রয়োজন তা নির্বাচন, নিয়োগ, উন্নয়ন পারিশ্রমিক প্রভৃতি পূর্বনির্ধারিত প্রক্রিয়াকেই কর্মী পরিকল্পনা বলে। ব্যবসার ধরণ, প্রকৃতি ও আয়তনের উপর কর্মী সংখ্যা নির্ভর করে। যেমন একটি গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠানে অধিক সংখ্যক কর্মীর প্রয়োজন হয়। অপরদিকে উৎপাদন প্রক্রিয়া যন্ত্রপাতি চালিত হলে সেখানে কম সংখ্যক কর্মীর প্রয়োজন হয় । কর্মীর পারিশ্রমিক কীভাবে দেওয়া হবে। অর্থাৎ মাসিক, সাপ্তাহিক, দৈনিক পারিশ্রমিক দেওয়া হবে তা আগেই নির্ধারণ করা হয়, যা কর্মী পরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
কর্মী সংগ্রহ (Source of Employ): ব্যবসায় প্রয়োজনীয় সংখ্যক কর্মী সংগ্রহ করা কর্মী ব্যবস্থাপনার পরবর্তী কাজ । প্রয়োজনীয় সংখ্যক কর্মী কোথা থেকে সংগ্রহ করা হবে এবং কীভাবে সংগ্রহ করা হবে তা নির্ধারণপূর্বক কর্মী সংগ্রহ করা হয়। কর্মী সংগ্রহের পূর্বে কোন পদে কতজন লোক নেওয়া হবে তা চিহ্নিত করতে হবে এবং উক্ত পদের জন্য কী কী যোগ্যতা থাকতে হবে তাও নির্ধারণ করতে হবে। চিহ্নিত করার পরই কর্মী সংগ্রহের প্রক্রিয়া শুরু করা যেতে পারে ।
কর্মী নির্বাচনের সংজ্ঞা (Definition of Selection of Employees)
সাধারণ অর্থে: কর্মী নির্বাচন বলতে শুধু নতুন কর্মী নিয়োগ করাকে বোঝায় না; কর্মীদের পদোন্নতি, পদাবনতি, বহিষ্কার বা ছাঁটাই প্রক্রিয়াও কর্মী নির্বাচনের অন্তর্ভুক্ত ।
আরও দেখুন...